করোনায় নার্স : ৫০ শতাংশের মানসিক স্বাস্থ্যহানি
করোনাভাইরাসের মহামারিতে বাংলাদেশের নার্সদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য উঠে এসেছে এক গবেষণায়। এ গবেষণায় দেখা যায়, দেশের প্রায় অর্ধেক নার্স মানসিক স্বাস্থ্যহীনতায় ভুগছেন। সেখানে বলা হয়েছে, নার্সদের মধ্যে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ বিষণ্নতা, ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ নার্স উদ্বেগ ও ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ নার্স মানসিক চাপ নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের মহামারিতে বাংলাদেশের নার্সদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য উঠে এসেছে এক গবেষণায়। এ গবেষণায় দেখা যায়, দেশের প্রায় অর্ধেক নার্স মানসিক স্বাস্থ্যহীনতায় ভুগছেন। সেখানে বলা হয়েছে, নার্সদের মধ্যে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ বিষণ্নতা, ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ নার্স উদ্বেগ ও ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ নার্স মানসিক চাপ নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্ববিখ্যাত গবেষণা প্রকাশক সংস্থা স্প্রিংজার করোনাকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে দায়িত্বরত নার্সদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২ এপ্রিল সংস্থাটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়। এটি করোনায় বাংলাদেশি নার্সদের নিয়ে প্রথম গবেষণাপত্র।
গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ নার্স মানসিক চাপ উপেক্ষা করে রোগীর সেবায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিলেন। করোনাকালে নিয়োজিত পুরুষ নার্সদের তুলনায় নারীরা বেশি আতঙ্কিত ছিলেন। দেশে করোনার প্রারম্ভে দেশব্যাপী নার্সদের পিপিই সংকটও উঠে এসেছে গবেষণাপত্রটিতে। যেসব নার্সরা পূর্ণাঙ্গ পিপিই পাননি তাদের মধ্যে মানসিক বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ বেশি লক্ষ্য করা যায়।
গবেষণা দলটি বাংলাদেশ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সমস্ত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে স্প্রিংজারে পাঠায়। গবেষণা দলের মধ্যে ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ গবেষক সাইফুর রহমান চৌধুরী, তাসলিমা চৌধুরী সুন্না, দিপক চন্দ্র দাস, হুমায়ুন কাবির, আহমেদ হুসাইন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব্বির মাহমুদ তিহান এবং শাকিল আহমদ।
প্রকৌশলনিউজ/এসআই